প্রকাশিত: / বার পড়া হয়েছে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের দাঁতমন্ডল গ্রামে খুনের ঘটনার পর প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুরুষরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় নারী-শিশুরাই বেশি আতঙ্কে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা ব্যাগ কারখানায় কাজ করা দুই যুবক—মহিদ আলীর ছেলে সুজন মিয়া ও লাফিল উদ্দিনের ছেলে শাকিলের মধ্যে বাকবিতণ্ডা নিয়ে গ্রামে সালিস বসে। সালিস চলাকালে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে আমির আলী (৪০) গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্বজনদের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষের অন্তত ১০টি বাড়ি ও কয়েকটি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় ঘরবাড়ি ভাঙচুর ছাড়াও গরু-ছাগল ও নগদ টাকা লুট করা হয়।
জালাল উদ্দিনের মেয়ে সুলতানা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, আমাদের ঘরে হামলা চালিয়ে ৮টি গরু, ৪টি ছাগল ও নগদ টাকা নিয়ে গেছে। এখনো হুমকি দিচ্ছে, ভয়ে আমরা বাড়িতে থাকতে পারছি না।
অন্যদিকে নিহতের চাচাতো ভাই সুজন দাবি করেন, আমরা লাশ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। কারা ভাঙচুর বা লুটপাট করেছে সেটা আমরা জানি না।
ঘটনার বিষয়ে নাসিরনগর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) তানভির আহমদ জানান, হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক পক্ষের কিছু লোকজন অতিরিক্ত উৎসাহ দেখিয়ে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ভাঙচুর বা লুটপাটের ব িষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।